গত 10 বছরে সারা বাংলাদেশে অনেক মানুষের সাথে ই কারেন্সি লেন দেন হয়েছে। paypal, skrill,neteller, payza বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি লেন দেন হ্য় বাংলাদেশে।বাংলাদেশে এখনো যেহেতু ব্যাংক এর মাধ্যমে ডিপজিট করা যায় না তাই একে অন্যর কাছ থেকে নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে।কিন্তু অনেকে এই Buy sell করতে গিয়ে সব হারিয়েছে। আমার গ্রুপের অনেক মেম্বার আমাকে তাদের প্রতারণার কথা বলেছে।এমন ও কিছু মেম্বার আছে যারা কিনা একবার না অনেক বার প্রতারণার শিকার হয়েছে। তাদের শেয়ার করা কয়েকটা অভিজ্ঞতা আপনাদের জানাচ্ছি।
- আমার গ্রুপের এক মেম্বার শাহবাগএ এক লোকের থেকে ১০০০ নেটেলার কিনবে বলে ঠিক করে। সামনা সামনি দেখা করে কিনবে।৮০০০০ টাকা নিয়ে TSC তে যায়। ওই লোক ও আসে। ওই লোক টাকা হাতে নিয়ে সব গুনে দেখে তারপর দিচ্ছি বলে স্মার্টফোন এ কাজ করতে থাকে। আচমকা ওই লোক দোড় দেয় রাস্তার অন্যপাশে।ওই লোক পিছন থেকে ধরার আগেই, আগে থেকে ঠিক করা CNG দিয়ে চলে যায়। চোখের সামনে দিয়ে ওনার ৮০০০০ টাকা গায়েব হয়ে গেল।থানায় গিয়ে কমপ্লেন করতে গিয়ে ওনার মাথা ব্যাথা আরো বেড়ে যায়। লেন দেন টা কি জন্য সেটাই নাকি বুঝাতে ২ ঘন্টা লাগে পুলিশ কে তারপর কেস নেয়।কিছুদিন পর পুলিশই নাকি তদন্তর জন্য ২০০০০ টাকা চেয়ে বসে।উনি ওই লোক কে ধরার আশা ছেড়ে দেন।
- আরেক জন ডানমন্ডির জিগাতলায় লেন দেন করতে গিয়ে যার সাথে লেন দেন করবে সেই লোক আরো কয়েক জন সহ তার ল্যাপটপ, মানিব্যাগ,মোবাইল রেখে দেয়।
- আরেক জন সামনা সামনি লেন দেন করার কাউকে না পেয়ে অনলাইনে ফেসবুক দেখে ৫০$ বেচার জন্য একজন কে ঠিকও করে।ওই লোক আগে টাকা দিবে বলেও রাজি হয়।বিকাশে মেসেজ পাওয়ার পর উনি ওনাকে ডলার দিয়ে দেয়।পরে টাকা withdraw করতে গিয়ে দেখে ব্যালেন্স নাই। ফেক বিকাশ মেসেজ দিয়েছে লোকটা। এক বারে বিকাশের থেকে যেমন মেসেজ আসে তেমন মেসেজ।
- একজন পর পর ৩ বার ধরা খায়। রংপুর বাসা এই লোকের তার হোষ্টিং এ পেমেন্টের লাস্ট সময় আসায় উনি পাগলের মত Paypal খুজতে থাকে। কিন্তু কাউকে পায়না দেখে অনলাইনে একজন ঠিক করে। এভাবে সে ৩ বারে ৩ জন কে টাকা দেয় সব বারই ধরা খায়।উনি পেমেন্টে আর দিতে পারে নাই।এই ঘটনার এক বছর পর সে আমার গ্রুপ খুজে পায় আর আমি ঘঠনাটা শুনি।
- আমার আরেক মেম্বার আমার সাথে লেন দেন এর আগে আরেক জন এর সাথে লেন দেন করেছিল। প্রথম ২ ৩ টা ছোট ছোট লেন দেন উনি ঠিক ভাবেই করে। আর ওনাকে ওই লোক বলত ভাই আমি এত ছোট লেন দেন করি না ১০০$ ৫০০$ নিচে আমি লেন দেন করি না।তো একবার ১৫০$ ডলার কিনার জন্য টাকা দেয় আর ওই লোক টাকাটা মেরে দেয়।
- এই ঘঠনাটার সাক্ষি আমি নিজেই। আমার এক মেম্বার আমায় Skrill buy এর কথা বলে, ওই সময় আমার কাছে কোন সেলার না থাকায় আমি তাকে বলি আমি আপতত পারছি না।উনার আর্জেন্ট হওয়ায় উনি নেট খুজাখুজি শুরু করে।পরে একটা সাইটও পায় যেখানে নাকি লাইভ বক্স আছে চ্যাট করার জন্য।যাই হোক এর মধ্য আমার গ্রুপ মেম্বার ওই লোক এর সাথে লাইভ বক্স এ চ্যাট করে skrill buy ঠিক করে। এদিকে আমার স্কাইপি তে একজন আমাকে বলে তার কিছু ডলার লাগবে যে কোন টা হলেই হবে।আমি তাকে আমার ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে বললাম টাকা দিতে আমি আপনাকে netellerদিব।সে আমার একাউন্ট নাম্বার নিল।তার কিছুক্ষন পর আমার গ্রুপ মেম্বার যে কিনা আমার কাছে স্ক্রিল চেয়েছিল, সে ফোন দেয়। বলে যেই সাইট থেকে উনি স্ক্রিল নিবে সেই সাইটের মালিক এই ব্যাংক একাউণ্ট দেয় যেটা কিনা আমার ছিল। আমার মেম্বার আমার সাথে আগে লেন দেন করেছে বলে আমার একাউন্ট চিনতে পারে।আসলে ওই সাইটের চিটার টা ওনাকে স্ক্রিল দিবে বলে উনাকে আমার একাউন্টে টাকা দিতে বলে অন্য দিকে আমাকে তার নিজের নেটেলার আইডি দিয়ে বলে আপনার একাউন্টে টাকা আসলেই নেটেলার দিয়ে দিয়েন।যদি ওই দিন আমার গ্রুপের মেম্বারটা আমার ব্যাংক একাউন্ট না চিনতে পারত তবে উনি টাকা দিয়ে দিত অন্য দিকে আমিও টাকা পেয়ে ওই চিটার কে নেটেলার দিয়ে দিতাম।মাঝখান থেকে সে স্ক্রিল কিনার টাকা দিয়ে ধরা খেত।পরে যদি ব্যাংক একাউন্ট চেক করত তবে ধরা খেত আমার ব্যাংক একাউন্ট।চিন্তা করেন কত বড় চিটারের পাল্লায় পড়তে গেছিলাম।
এই রকম অনেক ঘঠনাই ঘঠতেছে প্রতিনিয়ত তাই সাবধান।আগামী পর্বে অনলাইনে চিটার আইডেন্টি বা ফোনে চিটার বের করার কিছু উপায় শেয়ার করব।
আর আপনাদের যদি কোন সাহায্য লাগে তবে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন।
ফোন ০১৭৫৬৩৭২৪২১।
0 comments:
Post a Comment